১. তাচ্ছিল্যের সহিত কাহারো প্রতি বিদ্রুপ
করিয়া হাসা।
২. কাহাকেও খোটা দেওয়া।
৩. কাহাকেও মন্দ আখ্যা দিয়ে ডাকা
৪. বদগুমানী করা। (কু-ধারণা)
৫. কাহারো দোষ তালাশ করা।
৬. কাহারো গীবত করা।
৭. বিনা কারণে কাহাকেও দোষারোপ করা।
৮. চুগলখুরী করা।
৯. তোহমত লাগানো।(অপবাদ)
১০. মিথ্যা কথা বলা।
১১. আমানতের খেয়ানত করা। অন্যের বলা গোপন কথাটাও
আমানত
১২. ওয়াদা খেলাফী করা।
১৩. কাহাকেও তাহার অতীত গুনাহের উপর লজ্ঝা দেওয়া
১৪. কাহারো ক্ষতির উপর-খুশি হওয়া।
১৫. তাকাব্বরী করা।(অহংকার)
১৬. ফখর করা। ( গৌরবান্বিত হওয়া
১৭. সামর্থ থাকা সত্তেও অসহায় লোকদের সাহায্য না
করা।
১৮. কাহারো মালের ক্ষতি করা
১৯. কাহারো চরিত্রের উপর আঘাত করা।
২০. ছোটদেরকে স্নেহ না করা।
২১. বড়দেরকে শ্রদ্ধা না করা।
২২. অনাহারী ও বস্ত্রহীনদের উপযুক্ত সাহায্য না
করা।
২৩. পার্থিব মনোমালিন্যের কারণে পরস্পর তিন দিনের
বেশী কথা বন্ধ রাখা।
২৪. কোন প্রাণীর ছবি তোলা।
২৫. অন্যের জমিনের উপর ওয়ারিস দাবী করা।
২৬. সুস্থ্য-সবল ব্যক্তিদের ভিক্ষা করা।
২৭. দাঁড়ি মুন্ডানো বা এক মুঠের কম কাটিয়া ফেলা।
২৮. কাফের ও ফাসেকদের পোশাক ও বেশভুষা অবলম্বন
করা।
২৯. পুরুষগণ মহিলাদের পোশাক বেশভুষা অবলম্বন করা।
৩০. মহিলারা পুরুষের পোশাক ও বেশভুষা অবলম্বন
করা।
৩১. অপকর্ম করা।
৩২. চুরি করা।
৩৩. ডাকাতি করা।
৩৪. মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।
৩৫. এতিমের মাল আত্মসাৎ করা।
৩৬. মাতা-পিতার নাফরমানী করা ও কষ্ট দেওয়া।
৩৭. নিরপরাধ লোককে হত্যা করা।
৩৮. মিথ্যা কসম করা।
৩৯. ঘুষ গ্রহণ করা।
৪০. ঘুষ দেওয়া।
৪১. ঘুষের লেনদেনে সহায়তা করা।
৪২. মদ পান করা।
৪৩. জুয়া খেলা।
৪৪. জুলুম করা।
৪৫. কাহারো কোন জিনিষ বিনা অনুমতিতে নিয়ে যাওয়া।
৪৬. সুদ লওয়া।
৪৭. সুদ দেওয়া।
৪৮. ধোকা দেওয়া ।(প্রতারণা)।
৪৯. সুদের চুক্তিপত্র লেখা।
৫০. সুদের সাক্ষী হওয়া।
রাসুল (সাঃ) এর বাণী
Ø হুজুর
(সাঃ) যে ভাবে নামাজ পড়তে বলেছেন এবং সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) গণকে যেভাবে নামাজ শিক্ষা
দিয়াছেন, সেভাবে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করা।
Ø যে ব্যক্তি
ফজরের নামাজ ছাড়ে, তার মুখের জ্যোতি কমে যায়।
Ø যে ব্যক্তি
জোহরের নামাজ ছাড়ে, তার রোজগার থেকে বরকত কমে যায়।
Ø যে ব্যক্তি
আসরের নামাজ ছাড়ে, তার শরীর থেকে শক্তি কমে যায়।
Ø যে ব্যক্তি
মাগরিবের নামাজ ছাড়ে, তার সন্তান দ্বারা কোন লাভ হয় না।
Ø যে ব্যক্তি
এশার নামাজ ছাড়ে, তার রাতের ঘুম থেকে সুখ কমে যায়।
Ø রাসুল
(সাঃ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈশার নামাজ জামাআদের সাথে আদায় করল সে যেন অর্ধরাত দাঁড়িয়ে
ইবাদত করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করল, সে যেন সারা রাত নামায
পড়ল। -মুসলিম শরীফ ১/২৩২
Ø রাসুল
(সাঃ) বলেছেন কেয়ামতের দিন আমার সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে তারা, যারা আমার উপর বেশী করে
দরূদ পাঠ করে।
Ø রাসুল
(সাঃ) বলিয়াছেন- বেহেশতে প্রবেশ করিবে না
(১)প্রতারক
(২) কৃপন এবং (৩) যে ব্যক্তি দান করিয়া খোটা দেয়।
মেয়েদের
অমূল্য নছীহত
v একজন নেক্কার
নারী ৭০ জন ওলীর চেয়ে উত্তম।
v একজন বদকার
নারী এক হাজার বদকার পুরুষের চেয়ে নিকৃষ্ট।
v একজন গর্ভবতী
মেয়েলোকের ২ রাকাত নামাজ একজন গর্ভহীন মেয়েলোকের ৮০ রাকাত নামাজের ছেয়ে উত্তম।
v যে মেয়েলোক
আল্লহর ওয়াস্তে আপন সন্তানকে দুধ (স্তন) পান করান, তাহার প্রত্যেক ফোটা দুধের বিনিময়ে
একটি করিয়া নেকী তাহার আমল নামায় লেখা হয়।
v যখন স্বামী
পেরেশান (অস্থির) হইয়া বাড়ী ফিরে তখন যদি স্ত্রী স্বামীকে র্মাহারবা বলিয়া সান্তনা
দেয় ঐ মেয়েলোককে জেহাদের অর্ধেক নেকী দান করা হয়।
v যে ব্যক্তি
তাহার স্ত্রীকে রহমতের (মহব্বতের) নজরে দেখে এবং স্ত্রীও স্বমীকে রহমতের (মহব্বতের)
নজরে দেখে, আল্লাহ তা‘য়ালা ঐ দম্পতিকে রহমতের নজরে দেখেন।
v যে মেয়েলোক
সন্তানের অসুখের কারণে ঘুমাইতে পারে না। সন্তানের সেবা করে, আল্লাহ তা‘য়ালা
ঐ মেয়েলোকের অতীতের সমস্ত গুনাহ্ মাফ করে দেন, এবং ১২ বৎসর ইবাদতের নেকী দান করেন।
v যে মেয়েলোকের
সন্তান প্রসব হয়, তাহাকে ৭০ বৎসরের নফল নামায ও রোজার নেকী দেওয়া হয়। প্রসবের সময় যে
কষ্ট হয়, প্রতিবারের ব্যাথার কারণে হজ্বের নেকী দান করা হয়।
v যে মেয়েলোক
হুকুমের পূর্বে তাহার স্বামীর খিদ্মাত করে আল্লহু তা‘য়ালা তাঁহাকে ৭ তোলা স্বর্ণ ছদ্কা
করার সওয়ার দেন।
v যে স্ত্রী
তাঁহার স্বামীর রাজী (সন্তুষ্ট) অবস্থায় মারা যায়, তাহার জন্যে জান্নাত ওয়াজিব।
v যে স্বামী
স্ত্রীকে ১টি মাসআলা শিক্ষা দিবেন তিনি ৭০ বৎসর নফল ইবাদাতের সওয়াব পাইবেন।
v সকল জান্নাতিগণ
আল্লহ্ পাকের সাক্ষাতের জন্য যাইবে কিন্তু যে মেয়েলোক তাহাদের হায়া (লজ্জা) ও পর্দা
রক্ষা করিয়া চলিয়াছেন স্বয়ং আল্লাহ তাহাদের সাক্ষাতে যাইবেন।
v যে সকল
মেয়েলোক পর্দা রক্ষা করে না লজ্জাহীন, পাতলা কাপড় পরিধান করে এবং অন্যকে নিজের দিকে
আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে, ঐ সমস্ত মেয়েলোক জান্নাতে যাইবে না, এমন কি জান্নাতের খুশবুও
(ঘ্রান) পাইবে না।
মহিলাদের জন্য যাদের সাথে পর্দা করা জরুরী
চাচাত ভাই,
ফুপাত ভাই, মামাত ভাই, খালাত ভাই, দেবর, ভাসুর, ননদের স্বামী, ভগ্নিপতি, ফুপা,
খালু, স্বামীর ভাতিজা, স্বামীর ভাগিনা, স্বামীর চাচা, স্বামীর মামা, স্বামীর ফুপা,
স্বামীর খালু।