সবজি বাজারে প্রায় সারবছরই পুঁইশাকের দেখা পাওয়া যায়। সামান্য যত্নআত্তিতেই
পুঁইগাছ পুষ্ট হয় বলে গ্রামের বাড়ির আঙিনায় প্রায়ই দেখা যায়।
টবেও পুঁইগাছ ভালো জন্মে। ভাজি, ঝোল, পাকোড়া বা নুডুলসে পুইশাকের চলে
রকমারি ব্যবহার। গাঢ় সবুজ রঙের মসৃণ পাতা বিশিষ্ট পুঁইশাক দেখতে অনেক আকর্ষণীয়। পুষ্টিগুণেও
পুঁইশাক বেশ সমৃদ্ধ। নানা ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ এই শাকটি একদিকে যেমন বহুবিধ রোগ প্রতিরোধে
সাহায্য করে, অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে। তাই আসুন পুঁইশাকের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
v পুঁইশাকে স্যাপোনিন নামক একধরনের পদার্থ
আছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
v পুঁইশাকের আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ।
শরীরের কোনো অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফুলে গেলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম
হয়।
v
যারা ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য
পুঁইশাক খুব ভালো।
v পুঁইশাক প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য
করে।
v
হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
পুঁইশাক হতে পারে খুব ভালো দাওয়াই।
v শরীরে খোসপাঁচড়া কিংবা ফোড়ার মতো অনাবশ্যক
সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়তে পারদর্শী পুঁইশাক।
v পুঁইপাতার রসে একটু চিনি মিশিয়ে জুস করে
খেতে পারেন; এতে নাক ও গলার সংক্রমণ দূর হবে।
v যাদের প্রায় প্রতিদিনই মাথাব্যথা থাকে,
নিয়মিত পুঁইশাক খেতে তারা উপকার পাবেন খুব দ্রুত।