জীবনে কোন না কোন সময় মাথা ব্যাথায়
পড়েননি এমন লোক খুবই কম বা নেই বললেই চলে। কারণ মাথা থাকলে মাথা ব্যাথাও থাকবে এটা
অস্বাভাবিক কিছু নয় । দিনের শুরুতে, কাজের সময় এমনকি রাতের ঘুমের সময় মাথা ধরে
দিনটাই মাটি করে দিতে পারে। তাই মাথাব্যাথা থেকে কীভাবে দূরে থাকা যায় সে বিষয়ে
কিছু পদ্ধতি আপনাদের জানাবো ।
কেউ কেউ মাথাব্যাথা আরম্ভ হলে
ঘাড়ের পেছনে ঠান্ডা পানি বাবরফের টুকরা লাগাতে।এটা অনো সময় কাজ করে। অজু করুন। অজু
করলে মাধা ও ঘাড় ঠান্ডা পানির স্পর্শে ব্যাধা উপশমে সাহায্য করবে।
পছন্দের গান শুনতে পারেন যা মনকে
শান্ত করবে। ক্লাসিক্যাল মিউজিক যেমন রাগপ্রধান গান বাযন্ত্রসঙ্গীত শুনতে পারেন।
তবে চোখকে বিশ্রাম দিন। চোখ বন্ধ করে উপভোগ করুন বিটোভেন, মোজার্টের মতো
কম্পোসারের সৃষ্টিগুলো।
যোগব্যায়াম অনেক ভালো কাজে দেয় এ
ব্যাপারে। যারা নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের মাঝে থাকেন তারা ব্যাথায় আক্রান্ত হন কম।
লম্বা করে গভীর শ্বাস নিন, আস্তে করে ছেড়ে দিন। পেট ফুলিয়ে শ্বাস নিন, ছেড়ে দিন।
ধীরে ধীরে এমন শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে সাথে মন শান্ত হয়ে আসে, সাথে মাথাব্যাথাও
কমতে থাকে। চাইনিজ পদ্ধতি আকুপ্রেশার বা আকুপাংচার করেন কেউ কেউ এটা অনেকের
ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
খাবার খেতে যারা অনিয়ম করে তাদের
মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হয়। প্রধান তিনবেলার আহার বাদ দেয়া ঠিক হবে না। পেটে
ক্ষুধা নিয়ে কাজ করলে সহজেই মাথাব্যাথা হয়। খাবারে পাবেন কাজ করার শক্তি। শক্তি না
পেলে মস্তিস্ক দুর্বল হয়ে ব্যাথার উদ্রেক করে। তাই খাবারে অবহেলা চলবে না।
হঠাৎ করে মাথাব্যাথা যদি ধরেই বসে
সে ক্ষেত্রে নিম্নে পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন-পুদিনা পাতার বহু গুণের মধ্যে একটি
হলো মাথাব্যথা সারানো। টাটকা পুদিনা পাতা আঙুলে একটু চটকে নিয়ে নাকের কাছে ধরুন
এবং জোরে জোরে শ্বাস টানুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথাব্যথা কমে যাবে। তবে মাথাব্যাথা
পুরাতন হলে আপনার নিকটস্থ হোমিওপ্যাথের সাথে আলোচনা করতে ভুলবেন না।